করোনার বিরুদ্ধে একসাথে
করোনার বিরুদ্ধে একসাথে
করোনার বিরুদ্ধে একসাথে
সঠিক তথ্যের উৎস

গুজব ভাইরাসের মতোই ভয়াবহ। এজন্য 'পালাও করোনা' প্ল্যাটফর্মটি সাজানো হয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সংগৃহীত প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে।

প্ল্যাটফর্মটি সবার জন্য

সব ভেদাভেদ ভুলে করোনার বিরুদ্ধে আমাদের এক হতে হবে। 'পালাও করোনা' প্ল্যাটফর্মটি সাজানো হয়েছে সহজে বোধগম্য ভাষা ও প্রাসঙ্গিক ছবি দিয়ে, সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে আনার লক্ষ্যে।

করোনার বিরুদ্ধে, একসাথে

করোনার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে আমাদের দ্রুত জয়ী হতে হবে। তার জন্য যত কৌশল ও তথ্য জানা প্রয়োজন, সব নিয়ে আসতে হবে এক জায়গায়।

করোনা ভাইরাস কি?

কোভিড ১৯ হচ্ছে একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ যা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এক মহামারী আকার ধারন করেছে। এই রোগটি করোনা ভাইরাসের একটি নতুন প্রজাতি হতে সৃষ্ট যার কোন নিরাময় বা ভ্যাকসিন এখন আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটি মূলত ফ্লু জাতীয়, হাচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায় যেটি মানুষের শ্বাসযন্ত্রকে আক্রান্ত করে এবং ফুসফুসকে আস্তে আস্তে অকার্যকর করে ফেলে। রোগের তীব্রতা কম থাকলে এর লক্ষণীয় উপসর্গ হলো সর্দি, কাশি, জ্বর, এবং যদি রোগটি কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে মারাত্মক হয়ে ওঠে তখন শ্বাসক্রিয়ায় সমস্যা হয় এবং রোগীর শ্বাসকষ্ট হয়।

সামাজিক দূরত্ব কিভাবে করোনার প্রাদুর্ভাব কিভাবে কমাতে পারে তা আমরা একটি সহজ সিমুলেশনের মাধ্যমে বুঝতে পারি। ধরুন কোন টাউনে ২০০ জন ব্যক্তি আছে৷ তাদের মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত। সে ঘুরছে, চলছে, ফিরছে এবং তার সংস্পর্শে যারাই আসছে সকলে আক্রান্ত হচ্ছে৷ আক্রান্ত ব্যক্তিরা নতুন ব্যক্তিদের কে আক্রান্ত করছে৷ এখন ধরুন, এই ২০০ জনের ৫০ জনকে নিজেদের জায়গায় স্থির করে দেয়া হল। আক্রান্ত ব্যক্তি তখন নিজের মতো করে ঘুরলেও স্থির ব্যক্তিরা আর নাগালে পৌছাচ্ছে না। এতে করে আক্রান্ত হওয়ার হার কমে যাচ্ছে। আরো বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে এখন স্থির করে দেয়া যাক। ১০০ জন। এখন আক্রান্ত ব্যক্তি আর বেশি সংখ্যক মানুষকে নতুন করে আক্রান্ত করতে পারছে না। যারা আক্রান্ত হয়েছে তারা আবার ইতিমধ্যে সেবা নিয়ে সুস্থতা লাভ করেছে।
[তথ্যসূত্র]

সদ্যপ্রাপ্ত
জন আক্রান্ত হয়েছেন
জন সুস্থ হয়েছেন
জন চিকিৎসাধীন
জন মৃত্যুবরণ করেছেন
তথ্যসূত্র: https://covid19.mathdro.id/api/countries/Bangladesh
কিছু সাধারণ প্রশ্নোত্তর

WHO এর মতে, করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ২-১৪ দিনের মধ্যে Covid-19 এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে। যেগুলো হলঃ

  • জ্বর
  • কাশি
  • শ্বাসকষ্ট
  • ক্লান্তি
  • গায়ে ব্যাথা
  • সর্দি

আপনার যদি Covid-19 এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখা দেয় অথবা Covid-19 এ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসে থাকেন তাহলে দেরি না করে অতি দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর আপনি যদি সঠিক চিকিৎসা না নেন তাহলে আপনি এর সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় পৌঁছে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার মুখমণ্ডল এবং চোখ নীল হয়ে যেতে পারে, বুকে ব্যথা বাড়তে পারে এবং শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে।

হ্যাঁ, করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে তাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা আবশ্যক।

কোয়ারেন্টাইন একটি বিচ্ছিন্ন সামাজিক অবস্থা। এতে ভয় পাবার কিছু নেই। Covid-19 এর প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে জন-সমাগম থেকে দূরে থাকাই এর প্রধান লক্ষ্য।

আপনি যদি Covid-19 এ আক্রান্ত হয়ে থাকেন কিংবা আক্রান্ত কোন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার সাথে সম্পৃক্ত থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার মাস্ক পরা উচিৎ।

এন্টি-সেপটিক সাবান কিংবা হ্যান্ড ওয়াশ যেকোনো একটির সাহায্যে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। যদি এর কোনটিই না থাকে তাহলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার যেটিতে ৬০% অ্যালকোহল আছে সেটির সাহায্যে হাত পরিস্কার করতে হবে।

ভাইরাস পরীক্ষা করতে আমাদের অ্যাপটি ডাউনলোড করুন অ্যাপ ডাউনলোড